বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির ছোয়ায় প্রায় সবকিছু ডিজিটালাইজেসন হয়ে গিয়েছে এবং বেশিরভাগ সেবা ও তথ্যপ্রাপ্তিও অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গিয়েছে। তাই অনলাইন তথা ইন্টারনেটের যথাযথ ব্যবহার আমাদের প্রতিটি সচেতন নাগরিকদের জন্য জানা আবশ্যক।
আজকে আমরা এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোকপাত করবো, তা হলো “নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখবো কিভাবে”। বর্তমানে দেশের সব নাগরিক ভোটার আইডি কার্ড তথা এনএইডি কার্ড এর গুরুত্ব সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত। কারণ ভোটার আইডি বা এন আই ডি কার্ড ছাড়া আমরা অনেক ধরণের সরকারি ও বেসরকারি সেবা বা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারি। ভোটার আই ডি কার্ড এর পরবর্তি সংস্কার হলো স্মার্ট কার্ড যার মাধ্যমে প্রায় ২২ ধরনের সেবা প্রদান করা হবে এবং তা গ্রহণের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র কাজে লাগবে। যেমন: ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে ও তা নবায়ন করতে ,আয়করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর পেতে, সিকিউরড ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে, শেয়ার আবেদন ও বিও হিসাব খুলতে, ট্রেড লাইসেন্স করতে, যানবাহন রেজিস্ট্রেশন করতে, বিমা স্কিমে অংশগ্রহণ করতে,পাসপোর্ট করতে ও তা নবায়ন করতে, স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করতে, ব্যাংক হিসাব খুলতে, নির্বাচনে ভোটার শনাক্তকরণে, ব্যাংকঋণ গ্রহণে, গ্যাস-পানি বা বিদ্যুতের সংযোগ নিতে, সরকারি বিভিন্ন ভাতা উত্তোলন করতে, বিয়ে বা তালাক রেজিস্ট্রেশনে,আসামি ও অপরাধী শনাক্তকরণে, টেলিফোন ও মোবাইলের সংযোগ গ্রহণে, সরকারি ভর্তুকি পেতে বা সাহায্য ও সহায়তা পেতে, ই-টিকেটিং এর জন্য, বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর পেতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে, এমনকি চাকরির জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর লাগবে।
তবে আইনগত সেবা পেতে এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়নি। বর্তমানে, এই ভোটার আইডি কার্ডের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বলে শেষ করা যাবে না। সুতরাং অনলাইনে নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য দেখার প্রক্রিয়া ও এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করার প্রক্রিয়া জনাতে চাইলে এই পুরো আর্টিকেলটি ভালোভাবে পাঠকরুণ এবং এই সম্পর্কিত আরো সমস্যার সমাধান পেতে এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অন্যান্য আর্টিকেল গুলো পড়ুন এবং টেকনোলজিতে নিজেক আপডেটেট রাখুন।
নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড এর তথ্য দেখতে হলে আমাদের যে যে প্রয়োজনীও টুলস এবং সফটওয়্যার লাগবে:
প্রথমেই আমাদের একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস প্রয়োজন, যা ইন্টারনেট সেবা সাপোর্টেট তা হতে পারে মোবাইল/ স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ডেক্সটপ তথা যেকোন ধরণের ডিজিটাল কম্পিউটার ডিভাইস বা ট্যাপ, যে কোন কিছু। এর পর ই আমাদের লাগবে একটি আইএসপি তথা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার, যা কোন সিম হতে পারে বা হতে পারে বোর্ডব্যান্ড লাইন তথা ওয়াইফাই, মোট কথা যার মাধ্যমে আমরা ইন্টারনেটকে এ্যক্সেস করতে পারবো। এরপর এই ইন্টারনেটকে আমাদের ডিভাইসে সংযোগ করতে হবে। এবার ইন্টারনেট সংযোগযুক্ত হয়ে গেলে, ডিভাইসের যেকোন ইন্টারনেট ব্রাউজারে প্রবেশ করতে হবে। ব্রাউজারে গিয়ে গুগল সার্চবারে এনাইডি লিখে সার্চ দিলে আমাদের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট শো করবে। আমাদের দেশের সকল ভোটারদের তথ্য সংরক্ষণ করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন, তাই তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে, ওয়েবসাইট লিংকঃ services.nid.gov.bd/nid-pub/?session-expired= true.
এরপর আমরা আমাদের স্ক্রিনে জাতীয় নির্বাচন কমিশন এর ওয়েবসাইটের উইন্ডো দেখতে পাবো:
নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ এর ওপেন হওয়া ওয়েবপেইজে কয়েকটা বাটন আছে এর মধ্য হতে আমাদের লগইন বাটনে ক্লিক করতে হবে। লগইন বাটনে ক্লিক করলে একটি নতুন উইন্ডো ওপেন হবে। এই উইন্ডোতে আমরা অনেকগুলো ইনপুট বাটন দেখতে পাবো, যেগুলোতে আমাদের বিভিন্ন তথ্য ইনপুট করতে বলা হয়েছে। এই পর্যায়ে, সেই ইনপুট বাটনগুলোতে পর্যায়ক্রমে এনআইডি নাম্বার বা ফর্ম-স্লিপের ডিজিট, জন্ম তারিখ ও ক্যাপচা কোড পুরন করতে হবে। এর পর সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে আবার একটি নতুন পেইজ ওপেন হবে।এই পেইজে আপনাকে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের ওয়েব সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করতে বলা হবে মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমে। এবং মোবাইল নাম্বার যুক্ত করার পরে আপনার ভোনে একট কোড আসবে। সেই কোডের সংখ্যাগুলো ওই ইনপুট বক্সে সাবমিট করার মাধ্যমে স্ক্রিনে একটি কিউআর কোড জেনারেট হবে, রেজিষ্ট্রেশন সফলভাবে সম্পন্ন করতে এখন অন্য স্মার্টফোন থেকে গুগল প্লে স্টোর থেকে এনএইডি ওয়ালেট নামে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তৈরিকর্তৃ আ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে। এবার এই আ্যাপস দিয়ে কিউ আর কোডটি স্ক্যান করতে হবে তাহলে ফেইস তথা চেহারা ভেরিফিকেশন এর প্রক্রিয়া শুরু হবে। চেহারার তিন সাইট কে ভেরিফাই করার মাধমে চেহারা সনাক্ত প্রক্রিয়াটি সম্পূর্নরূপে সমাপ্ত করলে
আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড এর যেকোন তথ্য দেখতে পারবেন এমনকি ডাউনলোড ও করতে পারবেন।
ধন্যবাদ।
নতুন আবেদন করলে কতদিনে পাওয়া যাবে ?