এসইও কি? এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল ও বাংলা এসইও কোর্স ফ্রি ডাউনলোড

এসইও (SEO) হলো সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন। যদি আপনার একটি ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থাকে তবে গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে যে প্রক্রিয়াতে আপনি আপনার ওয়েব সাইটের জন্য অর্গানিক ট্রাফিক পাবেন সেই প্রক্রিয়ায় হলো এসইও। আপনি যদি আমার ওয়েবসাইটে গুগল সার্চের মাধ্যমে এসে থাকেন তাহলে আপনিও আমার সাইটের জন্য একটি অর্গানিক ট্রাফিক। এসইও কি এবং এসইও কিভাবে করবেন সেই বিষয়ে সম্পুর্ন বাংলা ভাষায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই আর্টিকেলে।

এসইও কি? (What is SEO)

মনে করুন আপনি অনলাইনে একটি মোবাইল কিনতে চাচ্ছেন বা মোবাইলের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন এখন আপনি সেটি জানার জন্য কি করবেন? অবশ্যই গুগল না বিং অথবা ইয়াহু তে গিয়ে সার্চ করবেন আপনার মোবাইল এর বিষয়ে। যেমনঃ IPhone X price in Bangladesh, IPhoneX buy online from Bangladesh, IPhoneX bangla review. তো এই কিওয়ার্ড গুলো গুগলে সার্চ করার পর আপনারা প্রথম পেইজেই অনেক গুলো রেজাল্ট দেখতে পাবেন যেগুলো তে ভিজিট করে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত তথ্য পেয়ে যাবেন খুব সহজেই।

আচ্ছা, ধরে নিলাম আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে গেলেন গুগল থেকে এখন ভাবুন তো এইযে আপনি সার্চ করা মাত্রই গুগলের প্রথম পেইজেই যে সাইটগুলো চলে আসল এগুলো কি এমনি এমনিতেই চলে আসল? কখনোই না। গুগল যদি না জানে যে এই আইফোন এক্স সম্পর্কিত তথ্য আপনার ওয়েবসাইটে আছে এবং সেটি নির্ভরযোগ্য তথ্য তাহলে গুগল কিভাবে আপনার সাইট সার্চ রেজাল্টে শো করাবে! তো যেই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি গুগল কে জানাতে পারবেন যে আপনার সাইটে এই বিষয়ে কোন আর্টিকেল রয়েছে সেই প্রক্রিয়ায় হলো এসইও (SEO)।

এসইও এর মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটটি গুগলের কাছে ফ্রেন্ডলি করে তুলতে পারবেন এবং গুগলে আপনার কন্টেন্ট গুলো সাবমিট দেয়ার মাধ্যমে গুগল কে জানাতে পারবেন যে আপনার সাইটে কোন বিষয়গুলো নিয়ে কন্টেন্ট আছে।

আপনার ওয়েবসাইটটি গুগলে সাবমিট করার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো হলোঃ

  • গুগল সার্চ কোনসলে ওয়েবসাইট সাবমিট
  • গুগল সার্চ কোনসলে সাইট ম্যাপ সাবমিট
  • ইউ আর এল ইন্সপেকশন
  • ইউজার ফ্রেন্ডলি ও ক্লিয়ার ওয়েব ডিজাইন
  • অন পেইজ এস ই ও
  • অফ পেইজ এস ই ও
  • ওয়েব সাইট স্পীড অপটিমাইজ

এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল

এসইও কি
এসইও

অন পেজ এসইওঃ

আপনি যেকোনো রকমের ওয়েবসাইট বা ইউটিউব বা যেকোনো কিছুর জন্যই এসইও করেন না কেন, এই ক্ষেত্রে সব চাইয়ে প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী কাজ হচ্ছে অন পেজ এসইও। অন পেজ এসইও যদি ঠিক না থাকে তবে আপনার কন্টেন্ট এর জন্য আপনি যা’ই করেন সেটি কখনো র‍্যাংক হবে না। এক নজরে দেখে নিন অন পেজ এসইও কিভাবে করতে হয়।

১. ফোকাস কিওয়ার্ডঃ ফোকাস কিওয়ার্ড হলো একটা নির্দিষ্ট কোন কিওয়ার্ড যেটি ফোকাস করে আপনি আপনার কন্টেন্ট র‍্যাংক করাতে চাচ্ছেন। অর্থাৎ যেই বিষয়টি গুগলে সার্চ করলে আপনার সাইটটি রেজাল্টে আসবে সেটিই হলো ফোকাস কিওয়ার্ড। ফোকাস কিওয়ার্ড সব সময় ছোট রাখবেন ও কিওয়ার্ড রিচার্সের মাধ্যমে লো কম্পেটিটিভ কিওয়ার্ড সিলেক্ট করে নিবেন, তাহলে সহজেই গুগলের প্রথম পেইজে র‍্যাংক করতে পারবেন।

২. কিওয়ার্ড রিচার্সঃ আপনি কোন বিষয় নিয়ে কন্টেন্ট লিখবেন এবং কি ফোকাস কিওয়ার্ড এ দিবেন এইটা জানার জন্য আপনাকে কিওয়ার্ড রিচার্স করতে হবে। কিওয়ার্ড রিচার্স এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন একটি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড কোন নির্দিষ্ট দেশে বা পুরো পৃথিবীতে প্রতি মাসে মোট কতবার সার্চ করা হয় এবং এই কিওয়ার্ড নিয়ে যেই সাইটগুলো কন্টেন্ট তৈরি করেছে তাদের মান কেমন। এর ফলে আপনি সহজেই কার্যকরী কিওয়ার্ড খুজে পাবেন।

মনে করেন আপনি এমন একটি কিওয়ার্ড সিলেক্ট করলেন যে কিওয়ার্ড দিয়ে কেউ কখনো গুগলে সার্চ’ই করে না, তাহলে এই কিওয়ার্ডে আপনার ওয়েব সাইট গুগলের এক নাম্বারে আসলেও তো কোন লাভ নাই। আর এজন্যই কিওয়ার্ড রিচার্স করা জরুরি। কিওয়ার্ড রিচার্সের জন্য জনপ্রিয় দুইটি সাইট (Free & Paid available) হলোঃ

  1. https://ahrefs.com/keyword-generator
  2. https://app.neilpatel.com/en/seo_analyzer/

আমি আমার ওয়েবসাইটে ১ নাম্বার টুলটি ব্যবহার করি। কারন, আমি ফ্রি টুলস ব্যবহার করি ও ahref এ ফ্রি ভার্শনে কোন লিমিট ও নাই।

কিওয়ার্ড রিচার্স সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।

৩. টাইটেলঃ ফোকাস কিওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে আপনার টাইটেল নির্ধারণ করতে হবে। টাইটেলের ভিতরে অবশ্যই ফোকাস কিওয়ার্ড টি থাকতে হবে। এছাড়াও টাইটেল এ নেগেটিভ বা পজেটিভ সেন্টিমেন্ট ব্যবহার করতে হবে, সংখ্যা ব্যবহার করতে হবে ও পাওয়ার ওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। আর টাইটেল যত সম্ভব ছোট করতে হবে।

৪. ট্যাগঃ আপনার ওয়েবসাইট এর এসইওর জন্য ট্যাগ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। প্রতিটি কন্টেন্ট এর সাথে ফোকাস কিওয়ার্ড রিলেটেড ট্যাগ দিয়ে হয়। যেইসব কিওয়ার্ড দিয়ে গুগলে মানুষ সার্চ করতে পারে এবং আপনার কন্টেন্ট এর সাথে সম্পর্কিত এরকম কিওয়ার্ড ট্যাগ হিসেবে ব্যবহার করতে হয়।

৫. কন্টেন্টঃ আপনার কন্টেন্ট অবশ্যই ইউনিক ও তথ্যবহুল হতে হবে। এমন কন্টেন্ট লিখতে হবে যেখান থেকে ভিজিটর গন উপকৃত হবে ও আপনার সাইট সম্পর্কে একটি পজিটিভ ধারণা পাবে। আপনার কন্টেন্টের প্রথম ১০% এর মধ্যে ফোকাস কিওয়ার্ড থাকতে হবে ও পুরো কন্টেন্ট জুড়েই ফোকার কিওয়ার্ড থাকবে। এছাড়া ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ আকারে কন্টেন্ট লিখতে হবে ও কন্টেন্টের মাঝে ছবি/ ভিডিও থাকতে হবে।

৬. মিডিয়াঃ আপনার কন্টেন্ট এ অবশ্যই মিডিয়া (ছবি অথবা ভিডিও) থাকতে হবে। এবং সেই ছবি বা ভিডিওর Alt টেক্সট হিসেবে ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে আর হ্যা, ছবি আপলোড করলে সেটি আপলোডের পূর্বেই কমপ্রেস করে নিতে হবে যাতে সাইজ কম হয় ও সহজে লোড হয়।

৭. ইউ আর এলঃ আপনার কন্টেন্ট এর এড্রেস বা ইউ আর এল এর মধ্যে আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড থাকতে হবে। সব সময় চেষ্টা করবেন ইউ আর এল ইংরেজিতে রাখার জন্য, এতে করে ভিজিটর দের পড়তেও সুবিধা হবে ও সাইটম্যাপেও সহজে এড হয়ে যাবে।

৮. ইন্টারনাল লিংকঃ ইন্টারনাল লিংক বলতে বুঝানো হয় আপনার একটা কন্টেন্টের ভিতরে আপনার ওয়েবসাইটের অপর আরেকটি কন্টেন্ট এর লিংক যুক্ত করে দেয়া। এর ফলে আপনি যেমন অতিরিক্ত ভিজিটর পাচ্ছেন সেই সাথে এটি এসইওর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

অন পেইজ এসইও নিয়ে ছোট করে আলোচনা করলাম এখানে, আরো বিস্তারিত ভাবে জানতে এই আর্টিকেল টি পড়তে পারেন।

অফ পেজ এসইওঃ

অন পেজ এসইও শেষ করার পরেও আপনার সাইট র‍্যাংক করার জন্য অফ পেজ এসইও একটি গুরুত্ব পূর্ন বিষয়। অফ পেজ এসইও একটি দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। হঠাৎ করে একদিনেই অফ পেজ এসইও করা যায় না। আপনার ওয়েবসাইট টি যতো পুরোনো হবে আপনার জন্য অফ পেজ এসইও বেশি সহজ হবে। অফ পেজ এসইও সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করলাম এখানে।

১. ব্যাকলিংকঃ অফ পেজ এসইও এর ক্ষেত্রে যে কাজটি আপনি করতে পারবেন দ্রুত সেটি হলো ব্যাকলিংক। এরপরেও প্রতিটি ব্যাকলিংক এড হতে প্রায় ১ সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে।

ব্যাকলিংক হলো অন্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটের যেকোন পেজের লিংক থাকা। এখানে আপনার প্রতিটি লিংক হলো একটি করে ব্যাকলিংক। আপনি ব্যাকলিংক পাবার জন্য অন্য ব্লগ সাইটে গেস্ট পোস্টিং করে সেখানে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক এড করে দিতে পারেন। তবে যেই সাইটে গেস্ট পোস্ট করবেন সে সাইট অবশ্যই ভাল মানের হতে হবে।

২. সোশ্যাল শেয়ারিংঃ আপনি একটি কন্টেন্ট পোস্ট করার পর সেই কন্টেন্টের লিংক ফেইসবুক প্রফাইল বা পেইজের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন। ফেসবুক ছাড়াও টুইটার, ইন্সটা সহ অন্যান্য সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে পারেন।

এছাড়াও বিভিন্ন প্রশ্ন-উত্তর সাইটেও আপনার কনটেন্ট সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তার সাথে আপনার সাইটের লিংক যুক্ত করে দিতে পারেন।

৩. ডোমেইন অথোরিটিঃ আপনার ডোমেইন অথোরিটি যত বেশি হবে, আপনার ওয়েবসাইট ও ততো সহজেই র‍্যাংক করবে। আপনার ডোমেইন এর বয়স বাড়লে ডোমেইন অথোরিটি এমনিই বেড়ে যাবে। এছাড়া ব্যাকলিংক বাড়লেও ডোমেইন অথোরিটি বাড়বে।

অফ পেজ এসইও এবং ফ্রি ব্যাকলিংক সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেল টি পড়তে পারেন।

গুগল সার্চ কোনসলে ওয়েবসাইট কিভাবে সাবমিট দিব?

অন পেজ এসইও করার পর আপনার কাজ হলো ওয়েবসাইট গুগলে ইনডেক্স করা। একটি ওয়েবসাইট তৈরির পর সেই ওয়েবসাইটটি আপনি ইউ আর এল দিয়ে গুগলে সার্চ করলেও খুজে পাবেন না। এর জন্য আপনাকে প্রথমেই আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হলো Google Search Console এ আপনার ওয়েবসাইট টি সাবমিট দিতে হবে ও এটি যে আপনার ওয়েবসাইট সেটি ভেরিফাই করতে হবে। আর ওয়েবসাইট তৈরির পর এটিই হলো এসইও এর জন্য প্রথম ও প্রধান কাজ।

Google Search Console এ আপনার ওয়েবসাইট টি সাবমিট দেয়ার জন্য প্রথমেই এই লিংকে প্রবেশ করুন।

প্রবেশ করে আপনার গুগল একাউন্ট দিয়ে লগইন করুন। লগিন করার পর বাম পাশের মেন্যু থেকে Add new property তে ক্লিক করুন। মেন্যু খুজে না পেলে এই লিংক থেকে সাহায্য নিতে পারেন।

Add new property তে যাওয়ার পর URL Prefix এর ঘরে আপনার সাইটের এড্রেস দিয়ে নিচে থাকা Continue বাটিনে ক্লিক করবেন। এর পর দেখবেন আপনার ওয়েবসাইট এড করার পরে আপনাকে সাইট টি ভেরিফাই করার জন্য বলা হবে। সাইট ভেরিফাই করার জন্য HTML ফাইলটি ডাউনলোড করে আপনার ফাইল ম্যানেজারের রুট ডিরেক্টরিতে (public_html) আপলোড করে দিন, আপনার কাজ শেষ! এইবার Verify বাটনে ক্লিক করলেই দেখবেন আপনার ওয়েবসাইট ভেরিফাইড হয়ে যাবে।

property verify on google
Property verify on google

হয়ে সার্চ কোনসলে আপনার ওয়েবসাইট (প্রোপার্টি) এড করা। এখন আপনার কাজ শুধু আপনার ওয়েব সাইটের সাইটম্যাপ গুগলে সাবমিট দেয়া।

Google Search Console এ সাইটম্যাপ কিভাবে সাবমিট দিব?

সাইটম্যাপ হলো আপনার সাইটের সকল পেইজ, পোস্ট, ক্যাটেগরি সহ সবকিছুর একটা XML ফাইল আকারে লিস্ট। এই ফাইলের মাধ্যমে গুগল জানতে পারবে আপনার ওয়েবসাইটে কি কি রয়েছে এবং কি কি গুগল না অন্য যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স করতে হবে। আর একারনেই সাইটম্যাপ এড করা অনেক বেশি জরুরি, এটা ছাড়া এসইও কার্যক্রম শুরুই করতে পারবেন না।

এখন কথা হচ্ছে আপনার সাইটের জন্য xml সাইটম্যাপ কোথায় পাবেন? এর জন্য এই সাইটে ভিজিট করতে পারেন। এখানে গিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা দিয়ে Start করলেই আপনি আপনার সাইটম্যাপ টি পেয়ে যাবেন। এবার সাইটম্যাপ টি ডাউনলোড করে আপনার ফাইল ম্যানেজারের রুট ডিরেক্টরি তে আপলোড করুন। এবার এই সাইট ম্যাপের এড্রেস টা আপনার সার্চ কোনসলে এড করে নিন এই লিংক থেকে।

কিন্তু সমস্যা হলো আপনি যদি এভাবে সাইটম্যাপ এড করেন তবে আপনি যখন নতুন কোন পোস্ট, ক্যাটেগরি বা পেইজ আপনার সাইটে যুক্ত করবেন তখন সেই পুরাতন সাইটম্যাপ এডিট করে নতুন যুক্ত করা পোস্ট/ পেইজের লিংক দিয়ে দিয়ে হবে যেটি অনেক বিরক্তর কাজ ও সময় সাপেক্ষ ও বটে!

এজন্য আপনি যদি চান যে অটোমেটিক ভাবে আপনার সাইটম্যাপ আপডেট হবে যখনি আপনি সাইটে নতুন কিছু যুক্ত করবেন, তাহলে আপনাকে প্লাগিন/ টুলস ব্যবহার করতে হবে। যা আপনি চাইলে ফ্রি ও পেইড দুই পদ্ধতিতেই ব্যবহার করতে পারেন। তো সাইটম্যাপ এর জন্য আপনাকে এসইও প্লাগইন ব্যবহার করতে হবে আর বর্তমান সময়ের সব চাইতে জনপ্রিয় ও কার্যকরী দুইটি প্লাগিন হলোঃ

  1. Yoast SEO
  2. Rank math SEO

আপনি যদি ফ্রি টুলস ব্যবহার করতে চান তাহলে আমি আপনাকে সাজেস্ট করব Rank math টুলস ব্যবহার করার জন্য। কেননা এখানে ফ্রিতেই অনেক বেশি ফিচার পেয়ে যাবেন যা আপনাকে Yoast এ পেতে হলে প্রো ভার্শন কিনতে হবে। আর আপনি পেইড টুলস ব্যবহার করলে যেকোনো একটা ব্যবহার করতে পারেন সেক্ষেত্রে দুইটাই প্রায় সমান। (আমি নিজে দুইটি প্লাগিন ব্যবহার করার পর আমার কাছে Rank math প্লাগিন টা সহজ ও অধীক কার্যকরী মনে হয়েছে এবং আমার এই ওয়েবসাইটেও Rank math এর ফ্রি ভার্শন ব্যবহার করছি।) আর হ্যাঁ, আরেকটি জরুরি বিষয় হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটে কখনোই কোন পেইড প্লাগিন বা থিম এর ক্রাক, নুলড বা জিপিএল ভার্শন ব্যবহার করবেন না। এতে করে কিন্তু উপকারের চাইতে আরো ক্ষতি হবে আপনার ওয়েবসাইটের।

ইউ আর এল ইন্সপেকশন কিভাবে করবেন?

যখন আমরা নতুন ওয়েবসাইট শুরু করি তখন সেটির ডোমেইন রেটিং ও অনেক কম থাকে, আর সেকারণে গুগল অনেক সময় ইনডেক্স করতে ঝামেলা করে থাকে। যদিও, এটি বেশীরভাগ সময় পুরাতন সাইটের জন্য অটোমেটিক ইনডেক্স হয়ে যায় কিন্তু নতুন সাইটে ম্যানুয়ালি ইনডেক্স করতে হয়।

এজন্য আপনাকে যা করতে হবে, প্রথমেই আপনার সার্চ কোনসলে গিয়ে সেখান থেকে সার্চ এ ক্লিক করে আপনার নতুন পেইজ বা পোস্টের লিংক দিয়ে সার্চ দিন। যদি রেজাল্টে বলে যে পেইজ বা পোস্টটি ইনডেক্স হয়ে গেছে তাহলে তো আর কিছু করতে হবে না আর যদি বলে যে ইনডেক্স হয় নাই তাহলে Request Indexing লেখায় ক্লিক করে ইনডেক্স করে নিতে হবে। বুঝতে সমস্যা হলে নিচের স্ক্রিনশট টি দেখুন।

এসইও বাংলা কোর্স ফ্রি ডাউনলোড
URL inspection (এসইও বাংলা)

এসইও পেইড কোর্সঃ

এসইও সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার জন্য এসইও বাংলা পেইড কোর্স ফ্রিতে ডাউনলোড করতে পারেন। এসইও, ওয়েব ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং সহ অন্যান্য সকল পেইড কোর্স ফ্রিতে ডাউনলোড করার জন্য এই আর্টিকেল টি পড়তে পারেন।

এসইও সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকলে অথবা কোন সাহায্য প্রয়োজন হলে এখানে কমেন্ট করতে পারেন। অথবা আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকের মাধ্যমে।

12 thoughts on “এসইও কি? এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল ও বাংলা এসইও কোর্স ফ্রি ডাউনলোড”

  1. ধন্যবাদ ভাই আপনাকে অনেক সুন্দর একটা কনটেন্ট শেয়ার করার জন্য ও ফ্রি এসইও টিউটোরিয়াল কোর্স দেওয়ার জন্য।

    Reply

Leave a Comment