ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর ধারণাটি বদলে গেছে ডিজিটাল মার্কেটিং আসার পর। বর্তমান সময়ে সবাই চায় ডিজিটাল মার্কেটিং এ ক্যারিয়ার গড়তে।
যারা ডিজিটাল মার্কেটিং এ ক্যারিয়ার গড়তে চান আজকের পোস্টটি তাদের জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং শিখে নিন কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটার হবেন।
আমরা আপনাদের জন্য আরো একটি সুখবর নিয়ে এসেছি। আমরা দিচ্ছি ডিজিটাল মার্কেটিং এর পেইড কোর্স সম্পূর্ণ ফ্রিতে। যাতে করে আপনি এই সম্পূর্ণ কোর্সটি ফ্রিতে করে খুব দ্রুত কাজ শুরু করে দিতে পারেন। এবং অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং পেইড কোর্সটি সম্পন্ন ফ্রিতে পেতে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আমরা এই আর্টিকেলের মাঝখানে ডিজিটাল মার্কেটিং পেইড কোর্সটি সম্পুর্ন ফ্রীর লিংকটি দিয়ে রেখেছি।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
আমাদেরকে প্রথমত বুঝতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিং কি? এটা কিভাবে কাজ করে এবং আপনি কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারেন।
আগে একটা সময় পণ্যের অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করতে হতো তাহলে আমাদের মানুষের বাড়ি গিয়ে গিয়ে অথবা কোন টেলিভিশনের মাধ্যমে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করাতে হতো।
কিন্তু বর্তমান সময়ে এটা সম্পূর্ণই আলাদা হয়ে গিয়েছে। আপনি ঘরে বসেই আপনার একটি মাএ ডিভাইস এবং নেট কানেকশন দিয়েই আপনার পণ্যের সারা দেশ-বিদেশ সম্পূর্ণ অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করতে পারেন। খুব সহজেই একে বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং।
আর অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই যারা ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেবা দিয়ে থাকে তাদেরকে মূলত ডিজিটাল মার্কেটার বলা হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে উইকিপিডিয়া থেকে জানতে পারেন এখান থেকে।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে ক্যারিয়ার!
হ্যাঁ,অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং করে ক্যারিয়ার গঠন করা সম্ভব। অনেকেই বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে ক্যারিয়ার গঠন করেছে এবং সফলতার সাথে কাজ করছে।
যতই দিন যাচ্ছে বর্তমান সময়ে ততই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভ্যালু আরো দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং অন অফ দ্যা বেস্ট হবে আপনাদের জন্য। যদি আপনারা ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান।
ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার আপনি খুব দ্রুত কাজ শিখতে শিখতে কাজ শেখার মাঝখানে আপনি অর্থ উপার্জন করা শুরু করে দিতে পারেন।
তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আমি আপনাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি এবং শেখানোর চেষ্টা করেছি। কিভাবে আপনি খুব সহজে খুব দ্রুততম অর্থ উপার্জন করা শুরু করে দিতে পারেন ডিজিটাল মার্কেটিং করে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কি প্রয়োজন?
ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে। আমি কিছু নাম উল্লেখ্য করছি।
- ফেসবুক মার্কেটিং।
- ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং।
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসিও)।
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
- ইউটিউব মার্কেটিং।
- ইমেইল মার্কেটিং।
- গুগোল এডওয়ার্ডস ক্যাম্পিং।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
চলুন তাহলে আলোচনা করা যক ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রত্যেকটি সেক্টর কিভাবে কাজ করে এবং আপনি কিভাবে অর্থ উপার্জন করবেন এ বিষয়ে।
ডিজিটাল মার্কেটিং পেইড কোর্সটি ফ্রিতে করতে চাইলে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
১. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হচ্ছে অন্যের প্রোডাক্ট আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে প্রচার করে সেই প্রোডাক্ট এর সেল বৃদ্ধি করবেন।
আরেকটু সহজ ভাষায় বুঝিয়ে বলি – ধরুন আপনার কোন ক্লায়েন্ট তার পণ্যটি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে সেল বৃদ্ধি করতে বলেছে।
বৃদ্ধি করার সময় সে বলে দিয়েছে তার টার্গেট অডিয়েন্স রয়েছে উদাহরণ হিসাবে ধরা যাক আমেরিকান অডিয়েন্সের কাছে সে প্রোডাক্ট বিক্রি করবে।
তাহলে এখন আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আমেরিকান গ্রাহকদের কাছে তার প্রোডাক্ট পৌঁছে দিতে হবে।
সেক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন সোশ্যাল অ্যাকাউন্টগুলি সোশ্যাল অ্যাকাউন্টগুলি আপনার কাছে থাকা অবস্থায়। কিভাবে আমেরিকান গ্রাহকদের খুঁজে বের করবেন। সেটাই এখন আমি আপনাদেরকে শিখাবো।
ধরুন আপনি ফেসবুক এর মাধ্যমে গ্রাহক খুজতাছেন তাহলে ফেসবুক এর সার্চ অপশনে গিয়ে লিখুন Buy Sell Group USA.
এটা লিখে সার্চ করার পর দেখবেন অনেক আমেরিকান Buy Sell Group পেয়ে যাবে সেই সব গ্রুপ এ জয়েন হয়ে যাবেন। এবং পরে আপনি তার প্রোডাক্টি সেইখানে পোস্ট করে প্রমোশন করাবেন। আশা করি বিস্তারিত ভাবে বুঝতে পেরেছেন। এই ভাবেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে হয়।
২. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
ওয়েবসাইটের পোস্ট গুগোল টপ রাংকিং এ আনার জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করানো হয়। আপনি এসইও এর ওপরে দক্ষতা অর্জন করে মাসিক খুব ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ফাইবার, ফ্রিল্যান্সিং সহ আরো নানান মার্কেটপ্লেসে আপনি কাজ করতে পারেন।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর উপর উপর দক্ষতা অর্জন করে আপনি আনুমানিক মাসিক লক্ষ টাকার উপরে ইনকাম করতে পারেন।
আপনার যদি আমার কথা বিশ্বাস না হয় তাহলে আপনি ফাইবার, ফ্রিল্যান্সিং সহ আরও নানান মার্কেটপ্লেসে ভিজিট করে দেখতে পারেন যারা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের উপরে দক্ষতা অর্জন করেছে করেছে। তারা তাদের সার্ভিস বিক্রি করে থাকে প্রতিমার লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে।
আপনি যদি চান সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের উপরে দক্ষতা অর্জন করে মাসে লক্ষ টাকার উপরে ইনকাম করবেন। তাহলে আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং এর পেইড কোর্সটি সম্পুর্ন ফ্রী তে করুন।
৩. ইউটিউব মার্কেটিং
আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে তাহলে, সেই চ্যানেলকে ব্যবহার করে আপনি কিন্তু মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ইউটিউব এর মাধ্যমে মার্কেটিং কিভাবে করবেন?
ধরুন, আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে।
সেই ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে অন্যের প্রডাক্ট প্রমোশন করে। আপনি কিন্তু অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
আপনি যার প্রডাক্ট প্রমোশন করবেন তার থেকে আপনি অর্থ ধার্য করে নিতে পারেন। একে বলা হয় পেইড প্রমোশন।
একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকলে কাজ বেশি একটা খোঁজার প্রয়োজন হয় না। আপনার কাছে গ্রাহক চলে আসে তারপর প্রোডাক্টটি প্রমোশন করার জন্য। একে আরেক ভাষায় বলা হয় sponsorship।
৩. ইমেইল মার্কেটিং
ইমেইল মার্কেটিং কিভাবে করবেন – ইমেইল মার্কেটিংয়ের মূলত বিষয়টা হচ্ছে আপনি মানুষের ইমেইল গুলা কালেক্ট করবেন এবং সে মেইলগুলো মাধ্যমে তাদের কাছে মেইল করে পৌঁছিয়ে দিবেন সম্পূর্ণ প্রোডাক্ট এর অফার গুলি।
যখন আপনি মেইল করবেন তখন দেখা গেছে একটু আকর্ষণীয়ভাবে সাজিয়ে মেইলগুলো করা উচিত। এতে করে কাস্টমার আপনি যে লিঙ্কটা দেবেন মেইলের মাধ্যমে সেই লিংকে ভিজিট করবে।
আর ফ্রিতে ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য সবচেয়ে বেস্ট প্লাটফর্ম হবে MailChimp এ। মেইলচিম্প মেইল প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন নেওয়া ছাড়াই আপনি ফ্রিতে সম্পূর্ণ ফ্রিতে 2000 ইমেল সেন্ড করতে পারবেন গ্রাহকদের প্রতিমাসে।
৪. গুগোল এডওয়ার্ডস ক্যাম্পেইন
গুগল এডভান্স ক্যাম্পেইনটি মূলত হচ্ছে পেইড ক্যাম্পেইন। এখানে আপনি গুগল এডওয়ার্ডে অ্যাকাউন্ট খুলবেন। সেই একাউন্টের মাধ্যমে আপনি পেইড ক্যাম্পেইন করে মানুষের কাছে পৌঁছে দিবেন প্রোডাক্টগুলো।
এটি মূলত হচ্ছে পেইড প্রমোশন। আপনি আপনার নিজের থেকে ইনভেস্ট করে তারপর প্রমোশন করবেন। সে ক্ষেত্রে আপনি যার প্রডাক্ট প্রমোশন করবেন তার কাছ থেকে আপনি নিজে যে ইনভেস্ট করেছেন। সেই এমাউন্টটা তার কাছ থেকে নিয়ে নিবেন। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার লাভটা ও ধার্য করে নিবেন।
৫. এফিলিয়েট মার্কেটিং
এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে আগেই পোস্ট করা হয়েছে। সম্পূর্ণ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা রয়েছে। এবং অ্যামাজনে কিভাবে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেস করবেন সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি চাইলে এই লিংকে ক্লিক করে দেখতে পারেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে বোঝানো হয় অন্যের প্রডাক্ট কে আপনি প্রমোশন করবেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে ওই প্রোডাক্ট এর উপর ভিত্তি করে কমিশন দেওয়া হবে।
শুধুমাত্র অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেস করেই অনলাইনে অনেক ভালো ক্যারিয়ার তৈরি করেছেন এরকম অনেক সফল ব্যক্তি রয়েছেন।
আপনি চাইলে শুধুমাত্র এফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেস করি একজন সফল ব্যক্তি হতে পারেন।
আমি এখানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে এখানে আলোচনা করছি না।
কারণ- আমরা অলরেডি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে একটি বিস্তারিত পোস্ট লিখেছি। দয়া করে সেই পোষ্টটি পড়ুন এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে কিভাবে সফলতা অর্জন করবেন জানুন।
উপরোক্ত ডিজিটাল মার্কেটিং এর সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত আলোচনা করে বুঝালাম এবং বোঝানোর চেষ্টা করলাম ডিজিটাল মার্কেটিং কি কিভাবে এটি কিভাবে কাজ করে।
আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এ ক্যারিয়ার গড়তে চান। এবং খুব দ্রুত কাজ শিখে অর্থ উপার্জন করে সফলতা অর্জন করতে চান।তাহলে প্রথম অবস্থায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতিটি সেক্টরে কাজ শিখার কোন প্রয়োজন নেই।
আপনি যেকোনো একটি সেক্টরকে বাছাই করে ওই সেক্টরের উপর সম্পন্ন কাজ শিখে তারপরে মার্কেটপ্লেসে কাজ করুন খুবই ভালো সফলতা অর্জন করতে পারবেন।।এবং খুব দ্রুত অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি পড়তে পারন।
ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে পেইড কোর্স ফ্রি!
ডিজিটাল মার্কেটিং সহ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর এর অন্যান্য আরো সকল বিষয়ের পেইড কোর্সগুলো একসাথে ফ্রিতে ডাউনলোড করে নিন এই আর্টিকেল থেকে।
আশাকরি ডিজিটাল মার্কেটিং কি এটা কিভাবে কাজ করে কিভাবে আপনি কাজ করবেন সম্পন্ন বুঝতে পেরেছেন। তারপরও যদি আপনাদের কোন ধরনের মতামত অথবা কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন।
তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আপনাদের কে সহযোগিতা করার।
আর যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ারে কতটা সফলতা অর্জন করেছেন।
2 thoughts on “ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং এর পেইড কোর্স ডাউনলোড করে নিন ফ্রিতে।”