হ্যা, অবশ্যই মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং/ অনলাইন আর্নিং সম্ভব।
ফ্রিলান্সিং কি?
ফ্রিলান্সিং হলো মুক্তপেশা! আপনি কাজ করবেন আপনার ইচ্ছে মতো। আপনি চাইলে সকাল ১০ টা তেও কাজ করতে পারেন আবার আপনি চাইলে রাত ১২ টাতেও কাজ করতে পারেন। আপনি চাইলে বেডে শুয়েও কাজ করতে পারেন আবার চাইলে গাড়িতে বসেও কাজ করতে পারেন। এর মানে এক কথায়, ফ্রিলান্সিং হলো আপনার পছন্দের কাজ আপনি যেখানে খুশি যখন খুশি করতে পারবেন একদম মুক্তভাবে।

আমি ফ্রিলান্সিং করতে চাই!
খুবিই ভাল কথা আপনি ফ্রিলান্সিং করতে চান। এখন আপনার জানা দরকার ফ্রিলান্সিং করতে চাইলে আপনার কি কি লাগবে? বা কি দরকার আপনার। ফ্রিলান্সিং এর জন্য সর্ব প্রথমে আপনার প্রয়োজন নিজের ইচ্ছেশক্তি, তারপর স্কিল, ডিভাইস, ইন্টারনেট কানেকশন ইত্যাদি।
আমি কি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারব?
যদি আপনার কম্পিউটার না থাকে, তবে আপনি চাইলে মোবাইল দিয়েই ফ্রিলান্সিং শুরু করতে পারেন। হয়তোবা এক্ষেত্রে আপনি কিছু সুযোগ সুবিধা কম পাবেন কিন্তু মোবাইল দিয়েও ফ্রিলান্সিং করা সম্ভব। এইযে আপনি এখন যে ব্লগ পড়ছেন এটিও মোবাইল দিয়েই তৈরি আর মোবাইল থেকেই নিয়মিত পোস্ট করা হয়।
আপনি চাইলেই মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন বা অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করতে পারবেন না কিন্তু ফ্রিলান্সিং জগতে অনেক কাজ আছে যেগুলো মোবাইল দিয়েই করা সম্ভব। যেমন- লিখালিখি করা, ওয়েব ডিজাইন করা, ডাটা এন্ট্রি, ট্রান্সলেট, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সহ আরো অনেক কাজ।
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন?
আপনি যদি প্রথমেই টাকা আয়ের কথা চিন্তা করেন, তবে ফ্রিলান্সিং আপনার জন্য না। আপনাকে প্রথমেই একটা বিষয় নির্বাচন করতে হবে যে বিষয় নিয়ে আপনি কাজ করতে চান। তারপর আপনাকে সে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে, তারপর আপনি কাজের চিন্তাভাবনা করতে পারেন।
এখন প্রশ্ন হলো ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন কিভাবে? টাকা লাগবে কিনা?
ফ্রিলান্সিং শিখতে আসলেন টাকা আয় করার জন্য! আর এখন যদি দেখেন শেখার জন্যই টাকা দরকার আর টাকার অভাবে শিখতে পারছেন না! তাহলে কেমন হলো বিষয় টা?
আপনি চাইলে টাকা ছাড়া একদম ফ্রিতেই ফ্রিলান্সিং শিখতে পারেন। কিন্তু তার আগে আপনাকে বাছাই করতে হবে আপনি কোন বিষয় নিয়ে কাজ করতে চান। মনে করেন আপনি ওয়েব ডিজাইন নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে আপনি ইউটিউব গুগল থেকে সহজেই বাংলা ভাষায় ওয়েব ডিজাইন শিখে নিতে পারেন।
একদম ফ্রিতে বাংলা ভাষায় সকল ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ডাউনলোড করে নিতে পারেন এই আর্টিকেল থেকে।
মোবাইল দিয়ে কি কি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে পারব?
মোবাইল দিয়ে যেসব ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে আপনারা টাকা আয় করতে পারবেন তা এখানে বিস্তারিত বর্ননা করলাম।
১. ইউটিউবঃ যদি আপনার কাছে ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপ না থাকে আর আপনি মোবাইল দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাও আবার কোন ইনভেস্ট ছাড়াই! তাহলে বেস্ট অপশন হবে আপনার জন্য ইউটিউবিং।
ইউটিউব হলো গুগলর একটি ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম। এখানে যে কেউ চাইলেই তার নিজের ভিডিও আপলোড করতে পারে আর সেখান থেকে এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকাও আয় করতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার শুধু একটি মোবাইল ও একটি গুগল একাউন্ট থাকলেই চলবে। আপনি প্লে স্টোর থেকে ইউটিউব স্টুডিও অ্যাপ ডাউনলোড করে এটির মাধ্যমে আপনার ভিডিও ইউটিউবে আপলোড দিতে পারেন।
আপনার চ্যানেলে এক বছরে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার ও ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম হলেই আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। মনিটাইজ পাবার পর মিনিমাম ১০০ ডলার হলে আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্ট থেকে সেই টাকা উঠাতে পারবেন ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে।
২. ব্লগিং/ কন্টেন্ট রাইটিংঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আমি ইউটিউবের পরেই সাজেস্ট করব ব্লগিং অথবা কন্টেন্ট লিখালিখি। যদি আপনি চান যে ইনভেস্ট করবেন কিছু টাকা সেক্ষেত্রে নিজেই একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে সেখানে লিখালিখি করতে পারেন। (যেমনটা আমি নিজেই করি) অথবা আপনি ইনভেস্ট করতে না চাইলে অন্যের ব্লগেও টাকার বিনিময়ে আর্টিকেল লিখে দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে কাজ পাবার জন্য আপওয়ার্ক বা ফাইবার এ যেতে হবে। আপনি চাইলে আমার এই ব্লগেও টাকার বিনিময়ে আর্টিকেল লিখতে পারেন সেক্ষেত্রে আর্টিকেল এর শেষে দেয়া আমার ফেইসবুক পেইজে মেসেজ করতে পারেন।
আপনি যদি নিজেই ব্লগ সাইট তৈরি করে আর্টিকেল লিখতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ পরবে হোস্টিং এর জন্য প্রতি বছর প্রায় ১০০০ টাকার মতো আর ডোমেইনের জন্য প্রতি বছর ৮০০ টাকার মতো। আর আপনি যদি গুগলের ব্লগস্পটে সাইট বানাতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে হোস্টিং এর জন্য কোন খরচ করতে হবে না।
৩. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে বুঝানো হয় ফেইসবুক, ইন্সটাগ্রাম সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার বিজনেস পেইজগুলো দেখাশোনা করা।
বিভিন্ন কোম্পানি বা দোকানের পেইজগুলোতে আপনি মোডেরেটর হিসেবে কাজ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার কাজ হলো সেই পেইজ/ একাউন্ট থেকে নিয়মিত তাদের প্রডাক্ট সম্পর্কে পোস্ট করা। সেই সাথে গ্রাহক দের কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়া ও মেসেজের উত্তর দেয়া। আর এই কাজটি আপনি আপনার মোবাইল দিয়েই করতে পারবেন।
৪. ওয়েব ডিজাইনঃ ওয়েব ডিজাইন বলতে বুঝানো হয় কোন রেডি সাইটের সামান্য কিছু পরিবর্তন করে সেটাকে অন্য ধরনের লুক দেয়া। এক্ষেত্রে তেমন কোডিং এর কোন জ্ঞান প্রয়োজন হয় না। অনেকটা ড্রাগ এন্ড ড্রপ এর মতোই কাজ করা যায়।
যেহেতু কোডিং এর প্রয়োজন হয় না আর এর জন্য আলাদা কোন সফটওয়্যার ও প্রয়োজন হয় না তাই আপনি চাইলে এটি আপনার মোবাইলের ব্রাউজার থেকেও করতে পারবেন। বিশেষ করে আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস এ ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তবে সেটি মোবাইল দিয়েই করতে পারবেন। এখন আপনি যেই ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পড়ছেন এই সাইটটিও সম্পুর্ন মোবাইল দিয়ে তৈরি এখানে ল্যাপটপ / ডেস্কটপের বিন্দু পরিমাণ ও ব্যবহার করা হয় নাই।
ফ্রিলান্সিং কাজ পাবেন কিভাবে?
ফ্রিলান্সিং কাজ করার জন্য বিভিন্ন জনপ্রিয় সাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনার চাইলেই সহজে কাজ করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং কাজ কিভাবে পাবেন এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
শেষ কথাঃ
মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন ও কি কি কাজ করতে পারবেন এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো এখানে। আশা করি আর্টিকেল টি আপনাদের উপকারে আসবে। আর আপনাদের যদি কোন বিষয়ে জানার থাকে তবে অবশ্যই সেটি কমেন্ট করে জানাবেন ও চাইলে আমাদের ফেইসবুক পেইজে ও মেসেজ করে জানাতে পারেন।
আমাদের ফেইসবুক পেইজঃ Penman BD
আমি ওয়েব ডিজাইন এর কাজ করতে চায় আামকে কি হেল্প করতে পারবেন।
আমি বাপ্পি আমি ডিজাইনের কাজ করতে চাই আমাকে কি হেল্প করতে পারবেন
আমি আপনার এখানে লেখালেখির কাজ করতে চাই।
আমি আপনার এইখানে লেখালেখির কাজ করতে চাই এইজন্য কি করতে হবে
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবো কি ভাবে
আমি লেখালেখির কাজ করতে চাই।
আসসালামু আলাইকুম স্যার,দয়া করে আমাকে সহযোগিতা করবেন।আমি মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে চাই।
আপনার এখানে আমি লেখালেখি করতে চাই
আপনার এখানে আমি লেখালেখি করতে চাই
আসলেই কি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়?
আসলেই কি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়?
khub e kajer akti place! kotha gulo onk valo lglo!