ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কিনা কিভাবে জানবো? ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক সফটওয়্যার

বর্তমান পৃথিবীতে আপনি যে দেশেই যান না কেন ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো একভাবে অসম্ভব ব্যাপার । একজন ড্রাইভার কে বিআরটিএ তিন স্তরের পরিক্ষার মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করে , এর মাধ্যমে একজন ড্রাইভার রাস্তার ট্রাফিক আইন সম্নদ্ধে জানতে পারেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে করবেন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করে জানবেন কিভাবে আপনার লাইসেন্স টি হয়েছে কিনা, সেই বিষয়েই আজকের এই আর্টিকেল।

ড্রাইভিং লাইসেন্স কি?

ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম শুনলেই প্রথমেই একটি কথা মাথায় আসে , অনেক কাগজ পত্র এক টেবিল থেকে অন্য টেবিল এ ছুটোছুটি , আর সময় ক্ষেপণ তো আছেই । এসব ঝুট ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্য অনেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চায় না , কিন্তু সঠিক তথ্য জানলে এই ভীতি থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব , আসুন দেখে নি কি কি কাগজ পত্র দরকার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে। ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রক্রিয়া ও ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।

“ড্রাইভিং লাইসেন্স হলো দেখতে অনেকটা ক্রেডিট কার্ড এর মতো একটা প্লাস্টিক ডকুমেন্ট যা একজন ব্যক্তিকে এক বা একাধিক গাড়ি চালানোর অনুমতি দিয়ে থাকে।”

ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
ড্রাইভিং লাইসেন্স

ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ

  •  জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি 
  • রেজিস্টার্ড  ডাক্তার কর্তৃক  মেডিকেল কর্তৃক
  • নির্ধারিত ফর্মে আবেদন 
  • নির্ধারিত ফি জমাদান করার রশিদ 
  • তিন কপি স্ট্যাম্প ও এক কপি পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি
  • নির্ধারিত ফি ১ ক্যাটাগরি- ৩৪৫/- ও ২ ক্যাটাগরি- ৫১৮/- টাকা

ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য ফর্ম সংগ্রহঃ

প্রথমতই ডিজিটাল বাংলাদেশ এ আপনি চাইলেই বিআরটিএ’র ওয়েবসাইট  থেকে লার্নার ফর্ম এর মাধ্যমে আপনি ফর্ম সংগ্রহ করতে পারেন তবে বিটিআরএ’র অফিস থেকে আপনি ফর্ম সংগ্রহ করবেন । এবং এটি পুরন করে নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে । 

অতঃপর

এই সব কার্যক্রম শেষ হলে আপনাকে ২ থেকে ৩ মাস পর লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার মোবাইল নাম্বার এ পরিক্ষা বিষয়ক সকল তথ্য পাঠানো হবে। 

পরিক্ষায় পাশ করার পর আপনাকে আবারো একটি ফর্ম পুরন করে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিস এ আবেদন করতে হবে । 

অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র কিভাবে যাচাই করবেন সেটি জানার জন্য এই আর্টিকেল টি পড়তে পারেন।

স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন ? 

  • নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
  • রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
  •  ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি।
  • নির্ধারিত ফি পেশসাদা-১৬৭৯/- ও অপেশাদার- ২৫৪২/- টাকা
  • ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।
  • এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি

ড্রাইভিং লাইসেন্স এর নবায়ন প্রক্রিয়া (পেশাদার ও অপেশাদার)

পেশাদারঃ

আপনি যদি পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী হন তাহলে আপনাকে  আবার একটি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে । এই ব্যাবহারিক পরীক্ষায় পাশ করার পর নির্ধারিত ফি (মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ১৫৬৫/- ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতি বছর ২৩০/- টাকা জরিমানাসহ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। স্মার্টকার্ড প্রিন্টিংয়ের সব ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আপনাকে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। এখানে পেশাদার লাইসেন্সের জন্য ২১ বছর বয়সী হতে হবে বাধ্যতামূলক।  

অপেশাদারঃ 

আপনাকে প্রথমে নির্ধারিত ফি (মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ২৪২৭/- ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পর প্রতি বছর ২৩০/- টাকা জরিমানাসহ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেলে একই দিনে আপনার বায়োমেট্রিক্স গ্রহণ করা হবে । স্মার্টকার্ড প্রিন্টিং সম্পন্ন হলে আপনাকে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে । এখানে অপেশাদার লাইসেন্সের জন্য ১৮ বছর বয়সী হতে হবে বাধ্যতামূলক। 

কেন ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করবেন ? 

ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলে আপনি নবায়ন করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ ৫ বছর। আর অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ ১০ বছর।

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে কি কি কাগজ প্রয়োজন ? 

  • নির্ধারিত ফরমে আবেদন
  • রেজিস্টার্ড ডাক্তার প্রদত্ত মেডিকেল সার্টিফিকেট
  • ন্যাশনাল আইডি কার্ড/জন্ম সনদ/ পাসপোর্টের ফটোকপি
  • নির্ধারিত ফি জমাদানের রশিদ
  • পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন
  • সদ্য তোলা এক কপি পাসপোর্ট ও এক কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি।

ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কিনা কিভাবে জানবো?

উপরুক্ত সকল দিক নির্দেশনা সম্পূর্ণ হলে আপনার মনে একটা প্রশ্ন জাগতে পারে , যে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুত হয়েছে কি না ? 

তবে এই সমস্যার সমাধান ও রয়েছে , খুব সহজেই আপনি ঘরে বসে জানতে পারবেন আপনার লাইসেন্স তৈরি হয়েছে কিনা ।

লাইসেন্স প্রস্তুত হয়েছে কিনা জানতে করনীয়ঃ

  • মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে ‘’DL রেফারেন্স নম্বর” টাইপ করুন 
  • মেসেজটি 6969 নম্বরে পাঠিয়ে দিন
  • ফিরতি মেসেজে চিপযুক্ত স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুতের বর্তমান অবস্থা জানতে পারবেন
  •  ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য বায়োমেট্রিক্স সম্পন্ন করার পর বিআরটিএ থেকে আপনাকে এ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ দেওয়া হয় তাতে রেফারেন্স নাম্বার উল্লেখ থাকে।  

ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক সফটওয়্যারঃ

ড্রাইভিং লাইসেন্স

আপনি যদি অনলাইন এ ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে চান তাহলে আপনি অনলাইন এর মাধ্যমেও করতে পারেন 

কি কি করনীয়ঃ 

এই লিঙ্ক থেকে সরাসরি ইন্সটল করে নিতে পারেন 

  • এপটি ওপেন হবার পর আপনার জন্ম তারিখ এবং DL No দিয়ে সাবমিট করবেন । আপনার কাজ শেষ , এপটি আপনাকে আপনার আইডি কার্ডের ছবিসহ দেখাবে 
  • তাছাড়াও ড্রাইভিং লাইসেন্সটি তে আপনার নাম , জন্ম তারিখ , লাইসেন্স এর মেয়াদ এবং সকল তথ্য উল্লেখ থাকবে 

উপরুক্ত সকল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পারেন । অবশ্যই নিরাপদ সড়ক এর জন্য লাইসেন্স করা আবশ্যক । বাংলাদেশ সরকার কত্রিক আয়োজিত নিরাপদ সড়ক মিশন এ আপনি সাহায্য করুন এবং অন্যদের সাহায্যার্থে আমাদের তথ্য গুলো ছড়িয়ে দিন 

17 thoughts on “ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কিনা কিভাবে জানবো? ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক সফটওয়্যার”

  1. আমার ডাইভিং লাইসেন্স এর DL CHECKER এর কাগজ টা হারিযে ফেলেছি এখন আমি কি করবো

    Reply
  2. আমি আমার স্লিপ রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে DL চেকারে চেক করেছি আসেনা

    Reply
  3. রেফারেন্স নাম্বার ছাড়া কি চেক করা সম্ভব? জন্ম নিবন্ধন/ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে।

    Reply
  4. আমি ২০২০ সালে ড্রাইভিং লাইসেন্স রেনু করতে দিয়েছে এখন ও লাইসেন্স হাতে পাইনি আমি সিংগাপুর প্রবাসী আমার ইমারজেন্সি লাইসেন্স লাগবে এখন কি করে আমার লাইসেন্স হাতে পাবো।আমার রেফারেন্স নাম্বার MHCXXD16131

    Reply

Leave a Comment